স্বরবর্ণ (Vowels):
১. অ
২. আ
৩. ই
৪. ঈ
৫. উ
৬. ঊ
৭. ঋ
৮. এ
৯. ঐ
১০. ও
১১. ঔ
ব্যাঞ্জনবর্ণ (Consonants):
১. ক
২. খ
৩. গ
৪. ঘ
৫. ঙ
৬. চ
৭. ছ
৮. জ
৯. ঝ
১০. ঞ
১১. ট
১২. ঠ
১৩. ড
১৪. ঢ
১৫. ণ
১৬. ত
১৭. থ
১৮. দ
১৯. ধ
২০. ন
২১. প
২২. ফ
২৩. ব
২৪. ভ
২৫. ম
২৬. য
২৭. র
২৮. ল
২৯. শ
৩০. ষ
৩১. স
৩২. হ
৩৩. ড়
৩৪. ঢ়
৩৫. য়
৩৬.ৎ
এগুলো বাংলা ভাষার মৌলিক স্বরবর্ণ ও ব্যাঞ্জনবর্ণ।
একটা ছোট্ট গ্রামে, একদল স্বরবর্ণ আর একদল ব্যাঞ্জনবর্ণ একসাথে বাস করত। তারা ছিল বাংলা ভাষার ভিত্তি। স্বরবর্ণরা ছিল মিষ্টি আর সুরেলা, আর ব্যাঞ্জনবর্ণরা ছিল শক্তিশালী আর দৃঢ়।
স্বরবর্ণদের গল্প:
স্বরবর্ণদের মধ্যে, 'অ' ছিল সবার ছোট্ট ভাই। সে সবসময় আনন্দে থাকত। 'আ' ছিল একটু লাজুক, কিন্তু খুবই হৃদয়বান। 'ই' আর 'ঈ' ছিল দুই বোন, তারা সবসময় সুরের ঝংকারে ভরিয়ে দিত চারপাশ। 'উ' আর 'ঊ' ছিল জমজ ভাই, তাদের মধ্যে একতা ছিল দেখার মত। 'ঋ' ছিল একটু ভাবুক, সবসময় কিছু না কিছু নিয়ে চিন্তায় মগ্ন। 'এ' আর 'ঐ' ছিল দুই বন্ধু, তারা সবসময় নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করত। 'ও' ছিল শান্ত স্বভাবের, আর 'ঔ' ছিল সবসময় চঞ্চল।
ব্যাঞ্জনবর্ণদের গল্প:
ব্যাঞ্জনবর্ণরা ছিল একদল নির্ভীক যোদ্ধা। 'ক' ছিল তাদের নেতা, সবার সমস্যার সমাধান করত। 'খ' ছিল তার ডান হাত, সবসময় তার পাশে থাকত। 'গ' আর 'ঘ' ছিল তার বিশ্বস্ত সহচর। 'ঙ' ছিল তাদের সৈনিক, সবসময় পাহারা দিত। 'চ' আর 'ছ' ছিল দুই ভাই, তারা সবসময় মিলে মিশে থাকত। 'জ' আর 'ঝ' ছিল দুই বন্ধু, তারা ছিল অনেবক মজার। 'ট' আর 'ঠ' ছিল মজার, তাদের কথায় সব সময় হাসির রোল পড়ত। 'ড' আর 'ঢ' ছিল সাহসী যোদ্ধা, সবসময় সবার পাশে দাঁড়াত। 'ণ', 'ত', 'থ', 'দ', 'ধ', আর 'ন' ছিল গ্রামের শান্তি রক্ষক। 'প' আর 'ফ' ছিল তাদের পরামর্শক, সবসময় সঠিক পরামর্শ দিত। 'ব' আর 'ভ' ছিল গ্রামের বড় ভাই, তারা সবার দেখাশোনা করত। 'ম', 'য', 'র', 'ল', 'শ', 'ষ', 'স', 'হ', 'ড়', 'ঢ়', আর 'য়' ছিল তাদের সাথী, তারা সবসময় একসাথে থাকত।
তাদের মিলন:
একদিন গ্রামে এক বিশাল উৎসবের আয়োজন করা হল। সেই উৎসবে স্বরবর্ণ আর ব্যাঞ্জনবর্ণরা একসাথে মিলিত হয়ে নাচ-গানে মেতে উঠল। তারা একসাথে নানা রকম শব্দ সৃষ্টি করে বাংলা ভাষাকে সুন্দর করে তুলল। তাদের এই মিলন থেকে তৈরি হল মধুর শব্দ, যা দিয়ে আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলি, লিখি আর পড়ি।
এভাবেই স্বরবর্ণ আর ব্যাঞ্জনবর্ণদের মিলন বাংলাকে এক সম্পূর্ণ, সুন্দর আর মিষ্টি ভাষায় পরিণত করেছে। তাদের এই একতার গল্প আজও আমাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
"একচন্দ্রদুইপক্ষ” হলো একটি বাংলা ছড়া যা বাংলা বর্ণমালার উচ্চারণ ও লেখার সহজ পদ্ধতি শেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ছড়াটি অনেক আগে থেকেই প্রচলিত, তবে এর সঠিক উত্স বা লেখকের পরিচয় সুনির্দিষ্ট নয়।
ছড়ার মূল অংশ:
একচন্দ্র, দুইপক্ষ, তিন অর্ধেক-চন্দ্র, চার অর্ধেক-ক, পাঁচ-ইফলা-দা, ছয়-ঊফলা-না, সাত-রেফ-ক-ত, আট-ক-ত, নয়-ত-লম্বা-তা।
অর্থ এবং ব্যবহার:
এই ছড়াটি বাংলা হরফের সহজ এবং ছন্দোময় ব্যবহারের মাধ্যমে বানান শেখায়। এটি বিশেষত ছোট শিশুদের বর্ণমালা সহজে মনে রাখতে সহায়তা করে।
সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ:
একচন্দ্র: একটি চন্দ্রবিন্দু
দুইপক্ষ: দুটি 'প' অক্ষর (পক্ষ মানে দুই পা)
তিন অর্ধেক-চন্দ্র: তিনটি অর্ধেক চন্দ্রবিন্দু
চার অর্ধেক-ক: চারটি অর্ধেক 'ক'
পাঁচ-ইফলা-দা: পাঁচটি 'দ' এর সাথে ই-কার ফলা
ছয়-ঊফলা-না: ছয়টি 'না' এর সাথে ঊ-কার ফলা
সাত-রেফ-ক-ত: সাতটি 'ক' এর সাথে রেফ ও 'ত'
আট-ক-ত: আটটি 'ক' ও 'ত'
নয়-ত-লম্বা-তা: নয়টি 'ত' ও লম্বা 'ত'
এই ছড়াটি বাংলার ছোট শিশুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি সহজেই মনে রাখা যায় এবং শিশুদের মধ্যে বাংলা বানানের প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তোলে।
Тэги:
#Oi_ojogar_asche_tere #Aye_Ajagar_asche_tere #k_Kakatuyar_mathai_jhuti #Bangla_swarbarno_o_Banjonborno #Bangla_Bornomala #bacchader_chora #bacchader_kobita #education_for_kids #kids_video #kids_school #kids_song #kids_poem #cartoon #nat_voltu #Motu_Patlu #Bheem #jalpari #thakumarjhuli #nonte_fonte_cartoon #bantul_the_great #gopalbhar #kiko_cartoon #dogi_cartoon