সেনাপ্রধানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার! | অন্তর্বর্তীকালীন সরকার | bnanews24

সেনাপ্রধানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার! | অন্তর্বর্তীকালীন সরকার | bnanews24

Bnanews24

55 лет назад

2,447 Просмотров

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন কয়েক শ বিক্ষোভকারী। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁদের একটি অংশ বঙ্গভবনের সামনে অবস্থানরত পুলিশের গাড়িতে হামলা করে। ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গবভনে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা, গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে তিনজন বিক্ষোভকারি আহত হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যান। বুধবার সকাল থেকে আবারও বিক্ষোভকারিরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করায় তাদের সেই তৎপরতা সফল হয়নি।

প্রসঙ্গত, রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও। সেখানে এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করা হয়। একই দাবিতে শাহবাগ ও বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ, ৩৬ জুলাই পরিষদ, রক্তিম জুলাই ২৪, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ, ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জনতার মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন।

এ ছাড়া ঢাকার বাহিরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, ফেনী, মেহেরপুর, নড়াইল ও ঝিনাইদহ থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন কি না, এটা একটি বড় প্রশ্ন। সরকার থেকে পদত্যাগে চাপ দেওয়া যেতে পারে। তবে তা অতীতে বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে হয়েছে। এখন ছাত্ররা রাজপথে নামার ফলে রাষ্ট্রপতির বিদায়ের সুস্পষ্ট পথ তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতিকে বহাল রাখার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সাংবিধানিক নানা বাধ্যবাধকতার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করার পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই, এমন মন্তব্য করার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকার ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কারও কারও সন্দেহ, হঠাৎ রাষ্ট্রপতির এ ধরনের বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রও হতে পারে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত সোমবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং তা উনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল।’

আইন উপদেষ্টার পর রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন যুব, ক্রীড়া ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিজের রাস্তা দেখার কথাও বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

সরকারের একাধিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেওয়া হবে কি না—বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিকভাবে বহুবার আলোচনা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেওয়া হবে কিংবা হবে না—এমন সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটাকে অনেকেই মনে করছেন বিশ্বাসঘাতকতা। কারও মতে, এটা শপথ ভঙ্গের শামিল। এ জন্য মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

তবে সরকার এখনো এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করেনি বলে জানান তিনি।
কোনো কোনো উপদেষ্টা মনে করেন, রাষ্ট্রপতিকে রেখে দিলে যেকোনো সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারেন। আবার কারও কারও মত ছিল, সংসদ না থাকায় রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের একমাত্র পথ হচ্ছে পদত্যাগ। আর পদত্যাগ করলে সংসদের স্পিকার দায়িত্ব নেবেন—এমনটা সংবিধানে আছে। কিন্তু স্পিকারও পদত্যাগ করেছেন। ফলে রাষ্ট্রপতিকে সরানোর চেয়ে সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকেই সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সরকারকে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে এই মূহুর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষফোঁড়া হিসাবে চিত্রায়িত করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে চাপ ক্রমেই বাড়ানো হচ্ছে। গত দুই দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্য এবং শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভে রাষ্ট্রপতির বিদায়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে—এটাই মূল আলোচনা। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে ভালো। না হলে সরকারের পক্ষ থেকে, এ সপ্তাহের মধ্যেই ছাত্রদের দিয়ে আন্দোলন জোরদার করে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান দেশে ফেরার পর। তিনি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। ২৫ শে অক্টোবর দেশে ফিরবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেনা প্রধানের সঙ্গে পরার্মশ করে করণীয় নির্ধারণ করবেন।

এদিকে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির তিন স্থায়ী কমিটির সদস্য। এরা হলেন নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ। বৈঠকের পর দুপুর ১২টার দিকে যমুনা থেকে বের হয়ে আসে বিএনপির প্রতিনিধিদলটি। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, দেশে যাতে নতুন করে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয়, সে জন্য তাঁরা খেয়াল রাখতে বলেছেন।

Тэги:

#bnanews24.com #দ্বাদশ_জাতীয়_সংসদ_নির্বাচন #হালচাল #দ্বাদশ_জাতীয়_সংসদ #জাতীয়_সংসদ #বাংলাদেশ #সংসদ_নির্বাচন #আওয়ামী_লীগ #নৌকা #ধানের_শীষ #বিএনপি #নির্বাচন_কমিশন #জামায়াত_ইসলামী #জামায়াত #জাতীয়_পার্টি #ফ্রিডম_পার্টি #রাজনৈতিক #জাতীয়_ঐক্য_ফ্রন্ট #ভোট #মন্ত্রী #নির্বাচনের_হালচাল #বিএনএ #Bangladesh_News_Agency #BNA #nirbachon #BNP #প্রতিবেদন #news #Election #Bangladesh_National_Parliament #Bangladesh #Parliament #Bangladesh_election #বাংলাদেশ_জাতীয়_সংসদ_নির্বাচনের_ইতিহাস #Bangladesh_Election_History
Ссылки и html тэги не поддерживаются


Комментарии: