Комментарии:
গা,লি 😂😂😂😂😂
Ответитьতোর মায়ের ভোদা তুই হইলি অমুসলিম এজিদের বাহিনীর বেতন ভুক্ত কর্মচারী ও প্রচার সম্মাদক , তোদের কাজ হলো অশান্তি সৃষ্টি , তুই নবী রাসুল বিশ্বাস করিস না , তুই মুসলিমের লেবাজ ধরে মুসলিমের ভিতর বিবাদ সৃষ্টি করিস তোর উপর মহান সর্ব শর্ত্তি মান আল্লাহর নালৎ ,
Ответитьআল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক
Ответитьজিবরাইল ভুল করে মুহাম্মদ (স) এর কাছে রেসালাত নিয়ে গেছেন এরকম বিশ্বাস কোন পাগলেও করে না। শিয়া ইমামরা সকল ইবাদতের বন্দেগির উর্ধ্বে চলে গেছেন এমন বিশ্বাস শিয়াদের নয়। ইমাম আলী হতে ইমাম মাহদী পর্যন্ত বারোজন ইমাম মাসুম বেগুনাহ এবং তাহারা আল্লাহর মনোনীত পৃথিবীবাসীর ইমাম ও হেদায়েতকারী হিসেবে। তাহারা ভুল ত্রুটির উর্ধে। এটাই শিয়াদের বিশ্বাস আমার জানামতে।
Ответитьতাহলে শুধু আমরাই সঠিক
Ответитьআপনি মিথ্যাবাদী ও মিথ্যাচার প্রচার করতেছেন। আবদ্দুল্লাহ ইবনে ছাবা নামে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে শিয়া সম্প্রদায় হয় নি। আপনি সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের মাঝে বিবেদ সৃস্টি করতেছেন। সূরা নূরে চরিত্র নিয়ে আল্লাহ কালাম এসেছে কিন্তু সেটা চারিত্রিক দিক থেকে চরিত্রবানদের জন্য। ইমাম আসকারী ওফাত গ্রহণ করেছে কিন্তু আপনি সেটা নিয়েও ভ্রান্ত সৃস্টি করেছেন। ইমাম মাহদি ( আ:) জম্ম গ্রহণ করেছে কিন্তু গায়েবী আছেন, কিয়ামতে আগে আসবেন। আপনার জ্ঞানের যথেস্ট ঘাটতি আছে, আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুক আমিন।
ОтветитьShia ar sunni biya korta para.biya kora ki pap
Ответитьআপনি সব কথা মোনগরা বলছেন মানুষকে গোমরা কোরছেন গোমরা কারির অবস্থান কোথায় আপনি জানেনতো ?
কোন শিয়া দের বই থেকে আপনি এই কথাগুলো বলেছেন বইয়ের নাম বলেন
শিআদের সমকালীন authentic ব ইগুলো পরে এই শাএখের বরননার কোন অসতিতত খুজে পাইনি।শিআরা যা বিশশাস করে না তা তাদের ওপর আরোপ করা ঠিক কিনা তা সবাই বুঝে নেবেন ।সবাইকে আললাহর কাছে জবিবদিহি করতে হবে।হাশরের ম এদানে বা কবরে কোন শাএখ গিএ আপনার পাশে দারাবে না।
Ответитьমুয়াবিয়ার মত মোনাফেক গাল মন্দ করে যে ইসালের ক্ষতি করার জন্য ইসলাম গ্রহন করছিল ইসালাম বিজয় হওয়ার পর।
Ответитьআল আজহা ইউনিভার্সিটি এর সাবেক প্রিন্সিপাল মুহাম্মদ মুসাভি আল তেজানি সাহেবের লিখা তিনটা বই আছে যা পড়লে শিয়াদের সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন বলে আশা রাখি
১- অবশেষে সত্যের সন্ধান পেলাম, ২- স্বত্ববাদীদের সঙ্গী হলাম, ৩- আহলে জিকিরকে জিজ্ঞেস করো. হোসেনী দালান ইমাম বাড়ি লাইব্রেরি তে (পুরান ঢাকা,ঢাকা মেডিকেল নতুন ভবনের বিপরিদ রাস্তায় দিয়ে যেয়ে কাওকে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দিবে). তিনি এমন এক উনিভার্সিটির
প্রধান ছিলেন যেই জায়গা থেকে ডিগ্রি নিয়ে বাংলাদেশ এর হুজুররা তাদের নামের শেষে "আজহারী" যুক্ত করে
শিয়া কাফের
Ответитьশিয়ারা কাফের এবং 72 ফেরকার একটি এবং দোযখী
ОтветитьDol upodol sunnite onek r sunnider ostad abu hanifar ostad siya silo othoso sunnider vul val kotha bartar jonno islam ar ai kharap obostha
Ответитьমৌলভীর কথায় বিশ্বাস না করে নিজে যাচাই করুন, অবশ্যই সঠিক টা পেয়ে যাবেন ---
Ответитьমিথ্যা বাদী
Ответитьশিয়ারাই সত্যিকারের মুসলমান। রাসুল স: কুরআন ও আহলে বায়াতকে আকড়ে থাকতে বলেছিলেন। আহলে বায়াতের সবাইকে হত্যার পর মুনাফিকরা সুন্নী নাম দিয়ে ধর্ম চালাচ্ছে। শায়েখ কি বলতে পারেন যে ফাতিমা আ: কি কারনে ২২/২৫ বয়সে মারা গেলেন? কোনো মাদ্রাসায় এগুলো পড়ায়?
ОтветитьRight 👍
Ответитьখুব ভালো লাগলো কথা গুলো শুনে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি।
Ответитьআমিন
Ответитьমিথ্যা তুই একটা এজিদের বংশধর, তুই এজিদের পহ্মে কথা বলিস, জারজ
Ответитьসুন্নিদের মধ্যে যে 72 দল জাহান্নামে যাবে তাদের সম্পর্কে একটু ধারনা বলবেন। ৬/১৫৯ এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন ইসলামের মধ্যে যারা বিভিন্ন দল বানায় তাদের সাথে নবীজির কোন সম্পর্ক নেই। যারা মুসলিম বলে দাবি করে তারা 95 পার্সেন্ট এরও বেশি আমার মতে বাকিটা আল্লাহ ভালো জানে এরা কোরআনের কিছু কথা মানে আবার কিছু কথা জানার পরেও অমান্য করে চলে এরা চিরস্থায়ী জাহান্নামী। ২:৮৫ এই আয়াতই পড়ে দেখুন এবং এরা যে ভালো ভালো আমল গুলো করেছে সেগুলো সব আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছে ৪৭:৯,২৮
ОтветитьSiya is best
ОтветитьApni ja bollen shia der kache tar proman ache.tara Quran Hadis theke dekhiye debe.tara sab sahaba der ke mane jara ahelebayt(a.s) shathe sottruta kore tader ke lanat dei.shohi Hadis theke proman deye debe.
Ответитьহুজুর তো দেখছি ভুল তথ্য দিচ্ছেন ইসলাম জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা কে করল এবং যে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করল উনার পরিবার থেকে ইসলাম কে জানতে হবে তিনি হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ এবং উনার পরিবারই জাপনবে কি করছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বাহিরের লোক কিভাবে জানবে
Ответитьসাহাবীগণের প্রসঙ্গ:
আর শিয়া মুসলমানরা কাউকে কাউকে উপযুক্ত দলীল, প্রমান, সাক্ষ্য, যুক্তি ও বিশ্লেষণ সহকারে সমালোচনা করে, কিন্তু গালি দেয়না। গালি দেয়া ইসলামে হারাম ঘোষনা করা হয়েছে!
যদি কোন শিয়া কোন খলিফাকে অথবা কোন নবীপত্নীকে 'গালিগালাজ' করে, তবে সে শিয়া মাযহাবের ফিকাহ অনুযায়ীই অত্যন্ত জঘন্য হারাম কাজ করল!
ইরানের রাহবার রাহবার হযরত আয়াতুল্লাহ ইমাম সাইয়্যেদ আলী হুসাইনী খামেনায়ী (হাফিঃ)-ও এটাকে হারাম ফতোয়া দিয়েছেন!
আর কোন ব্যাক্তি শিয়ার ব্যাক্তিগত আচরন গোটা শিয়া মাযহাবের প্রতিনিধিত্ব করেনা। ঠিক যেমন কোন সাধারন সুন্নি ভাইয়ের ব্যক্তিগত আচার আচরন, কথাবার্তা সুন্নি মাযহাবের প্রতিনিধিত্ব করেনা।
অশ্লীল গালি দেয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম, এমনকি যদি তা খোদ ইবলিস শয়তানকেও দেয়া হয়! সাধারন কোন ব্যাক্তি শিয়ার ব্যক্তিগত কোন মত, কথা বা আচরন দেখে শিয়া মাযহাব সম্পর্কে জানা যাবেনা। যেমনটা সাধারন সুন্নি ভাইদের আচার ব্যবহার, কথা বার্তা দেখেও সুন্নি মাযহাব সম্পর্কে জানা যাবেনা।
গালাগালি করা ইসলাম এবং ইসলামের সকল মাযহাব অনুযায়ী সম্পূর্ণরূপে হারাম। দুঃখজনকভাবে শিয়া ও সুন্নি উভয় মাযহাবেই কিছু উগ্র ও বিচ্যুত লোক একে অপরকে, কিংবা একে অপরের নেতৃবৃন্দকে গালাগালি করে থাকে যেটার সাথে না শিয়া মাযহাবের সম্পর্ক রয়েছে আর না সুন্নি মাযহাবের সম্পর্ক রয়েছে।
সুতরাং তথাকথিত নামধারী এসব 'শিয়া' লোকদেরকে দেখে সুন্নি ভাইরা শিয়া মাযহাবকে বিচার করতে গেলে, তাখন সুন্নি মাযহাবের ঐসব উগ্র লোকদেরকে দেখেও শিয়ারা সুন্নি মাযহাবকে বিচার করতে শিখবে।
প্রাচীন কাল থেকেই বড় বড় শিয়া মনীষীগণ এই কথা বলেছেন এবং এটাই আহলে বাইতের এই মাযহাবের আক্বীদা ও শিক্ষা।
কিন্তু সকল মাযহাবেই যেমন উগ্র ও বিচ্যুত ধারা রয়েছে, শিয়া মাযহাবেও তেমন অল্প কিছু ব্যাক্তি রয়েছেন, যাঁরা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেন এবং তাঁরা শিয়া মাযহাবের শিক্ষা নিজেরাই মেনে চলেন না। সুন্নি মাযহাবেও এমন কিছু ব্যাক্তি রয়েছেন যাঁরা মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাঃ {তাঁর জন্য আমার পিতা মাতা কুরবান হোক} এর আহলে বাইতকে গালিগালাজ করে থাকেন, যা আসলে সুন্নি মাযহাবের শিক্ষা নয়।
আই এস, সৌদীপন্থী, স্যেকুলার এরদোয়ানপন্থী, ওয়াহাবী, তালেবান, ফকির বাউলপন্থী, ভন্ড পীরপন্থী, রাজাকার, জোকার ওয়াজী, সমকামে লিপ্ত কিছু কওমী আলেম শ্রেণী, সরকারী দরবারী আলেম শ্রেণী, ইত্যাদি গ্রুপগুলোর সাথে যেমন সুন্নি মাযহাবের কোন সম্পর্ক নেই তেমনি কেউ যদি কাউকে গালি দেয়, তাহলে তাঁর সাথেও শিয়া মাযহাবের কোনই সম্পর্ক নেই।
কয়েক বছর হল নতুন নতুন কিছু উগ্র তথাকথিত শিয়া দেখছি অনলাইনে যাঁদের বেশিরভাগকেই সরাসরি চিনি না এবং তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়েও তাঁদের অস্তিত্ব বের করতে পারিনি। কিছু ইসরাইলী এবং সৌদী এজেন্ট ইরান এবং শিয়া মাযহাবকে বদনাম করার জন্য এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সুন্নি ভাইদেরকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য শিয়া আইডি খুলে এ ধরনের গালাগালি করছে যাতে মানুষ মনে করে যে শিয়া মাযহাবটাই বুঝি এমন। তবে হ্যাঁ, দুই একজন উগ্র শিয়াও যে নেই তা বলছি না। সব ধর্মে, সব মাযহাবেই এমন কিছু উগ্র লোক থাকে।
মুসলমানদের মধ্যে গালাগালি করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি রয়েছে সৌদীপন্থী ওয়াহাবীদের মধ্যে। এদের চিন্তা চেতনা যেমন উগ্র, এদের আচার আচরনও তেমনি হিংস্র। আর গালাগালি এদের মুখে প্রতিনিয়ত এবং অনবরত আসতেই থাকে। এরা অন্য মাযহাবের সবাইকে কাফির, মুরতাদ, মুশরিক, ইত্যাদি বলতেও পিছপা হয়না।
তবে একটি বিষয় পরিস্কার করা দরকার যে 'গালিগালাজ' আর 'সমালোচনা' এক বিষয় নয়!
উপযুক্ত ঐতিহাসিক দলীল, প্রমান, সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সত্য উদঘাটনের জন্য কাউকে সমালোচনা করা মানেই তাকে গালি দেয়া না।
কোন সাহাবা কিংবা নবীপত্নিগণকে গালি দেয়াটা শিয়া কিংবা সুন্নি উভয় মাযহাব অনুসারেই সম্পূর্ণরূপে হারাম।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বিরুদ্ধাচারন করার জন্য বিধি সম্মত উপায়ে দলীল, প্রমান, সাক্ষ্য, যুক্তি ও বিশ্লেষণের আলোকে কাউকে সমালোচনা করা আর গালি দেয়ার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ আছে।
আর রাসূলুল্লাহ সাঃ {তাঁর জন্য আমি কুরবান হই} এর হুকুম ও আদর্শের বিরোধীতা কেউ করলে তাকে সমালোচনা করা নিঃসন্দেহে ঈমান এর পরিচয় বহন করে; আর অপর পক্ষে তাদের সমালোচনা না করা বা তাদেরকে ভালবাসাটা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাঃ {তাঁর জন্য আমার পিতা মাতা কুরবান হোক} এর বিরুদ্ধেই যায়!
কালেমা প্রসঙ্গে:
শিয়া এবং সুন্নি, উভয় মাযহাবের কালেমা একই। কোন পার্থক্য নেই। শিয়াদের আক্বীদার কোন গ্রন্থে "লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" ব্যাতীত অন্য কোন কালেমাই খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তবে কেউ কেউ, কোন কোন সময়ে শ্লোগান হিসেবে 'আলিয়্যুন ওয়ালিউল্লাহ' কথাটি কালেমার পর বলে থাকেন। কিন্তু এটা কেবল মাত্র একটি শ্লোগান কিংবা ঘোষণা, এটা কালেমার অংশ নয়।
আর তাছাড়া 'আলিয়্যুন ওয়ালিউল্লাহ' কথাটির অর্থ হচ্ছে আলী হচ্ছেন আল্লাহর ওলী, এখানে কেবল মাত্র হযরত আলী (কাঃ) কে মহান আল্লাহ পাকের একজন ওলী হিসেবে পরিচিত করানো হচ্ছে যা বাস্তবেও একটি সত্য কথা। শিয়া, সুন্নি সহ কোন মুসলমানই এটা অস্বীকার করবেন না যে হযরত আমিরুল মু'মিনিন আলী (কাঃ) মহান আল্লাহ পাকের ওলী ছিলেন না। তাহলে কালেমার অংশ মনে না করে কালেমার পর এর সাথে ছন্দ মিলিয়ে সত্য একটি কথাকে যদি কেউ শ্লোগান হিসেবে বলে থাকেন, তাহলে সমস্যা কোথায়?
কেন তাহলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে শিয়াদের কালেমা সুন্নিদের থেকে ভিন্ন?!
আশুরায় রক্তপাত প্রসঙ্গ:
ইসলামী ইরানের রাহবার সহ ইরান, ইরাক, লেবানন, বাহরাইন, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, আযারবাইযান, কুয়েত, কাতার প্রভৃতি দেশের অসংখ্য শিয়া আলেম ও মুস্তাহিদ ফকীহগন ফতোয়া দিয়েছেন যে শোক পালন করার নামে এ ধরনের ছুরি দিয়ে রক্তপাত করা সম্পূর্ণ হারাম ও বিদআত!
তবুও কিছু অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অন্ধ শিয়া লোকেরা এই কাজটি করে যাচ্ছে যার সাথে শিয়া মাজহাবের কোন সম্পর্ক নেই।
অধিকাংশ শিয়ারাই এই ধরনের রক্তপাতের বিরোধী ... বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সহ যে সব দেশে এ রকম রক্তপাত হয়, সে সব দেশের আশুরার শোক মিছিলে অংশগ্রহন করা হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ শিয়া মুসলমানদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা ত্রিশ চল্লিশজন ব্যাক্তি এই কাজ করে, অন্যরা এটা করেননা ও সমর্থনও করেননা!
আর যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে অধিকাংশ শিয়ারা এটা করে, তাহলেও কি এর জন্য শিয়া মাযহাবকে দোষ দেয়া যাবে, যখন শিয়া মাযহাবের শরিয়তের ফিকাহতে এটা হারাম ও বিদ'আত ঘোষনা করা আছে?!
যদি অধিকাংশ অনুসারীর কর্মকান্ডের দোষ মাযহাবের গায়ে আসে, তাহলে তো বলতে হয় যে, যেহেতু বাংলাদেশে অধিকাংশ সুন্নি নারীরা হিজাব পড়েনা এবং উগ্র ও অশ্লীলভাবে চলাফেরা করে, সুতরাং এর জন্য সুন্নি মাযহাব দায়ী! বলতে হবে যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ সুন্নি জনগোষ্ঠী পবিত্র কুরবানীর ঈদে গরু জবাই দেয় মাংস খাওয়ার লোভে, সুতরাং এর জন্যে সুন্নি মাযহাবই দায়ী; আরও বলা যাবে, যেহেতু বাংলাদেশের অনেক সুন্নি ব্যাক্তিরা মাজারে গিয়ে গলায় জরীর মালা লাগিয়ে গাঁজা সেবন করে, সুতরাং এর দায় দায়িত্বও সুন্নি মাযহাবের উপর বর্তাবে!
যাই হোক, সব মাযহাবেই কিছু বিদ'আতপন্থীরা রয়েছে, সুন্নি মাযহাবেও বিদ'আতপন্থীরা রয়েছে। এখন সুন্নি বিদ'আতপন্থীদের অনৈসলামিক কর্মকান্ডের দায় দ্বায়িত্ব কি সুন্নি মাযহাব নেবে? নেবেনা। তেমনি শিয়াদের মধ্যে অল্প কিছু বিদ'আতপন্থীদের হারাম কর্মকাণ্ডের দায় দায়িত্বও পবিত্র শিয়া মাযহাব নেবে না।
পবিত্র কুর'আনের বিকৃতি প্রসঙ্গ:
আর এটা একেবারেই মিথ্যা অভিযোগ যে শিয়ারা অন্য কুরআনে বিশ্বাস করে!! "কুরআন পরিবর্তন হয়েছে" এমন কোন আক্বীদা শিয়া মুসলমানদের নাই!! যদি শিয়া মুসলমানদের অন্য কুরআন থাকে তাহলে সেই কুরআন কোথায় আছে? কেউ কি সেটা দেখেছে, নাকি খালি সৌদী ওয়াহাবীদের মুখে শুনেই বিশ্বাস করে আসছে?!
যেসব সুন্নি ভাইরা যাঁরা ইসলামী ইরানে বসবাস করেন, তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখা উচিত যে উনারা তন্নতন্ন করে খুঁজেও ইসলামী ইরানের কোন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও কোন আলাদা 'শিয়া কুরআন' খুঁজে পান কিনা! আর এই অপবাদ দানকারীরাও বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে খুঁজে একটি আলাদা 'শিয়া কুরআন' বের করে আমাদের দেখাক!
মহান আল্লাহ পাক তাঁর পবিত্র গ্রন্থ আল কুর'আনুল হাকীমে উল্লেখ করেছেন যে তিনি এই গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তিনি নিজেই এই গ্রন্থকে হিফাযত করবেন।
এখন শিয়াদের অন্য কুর'আন আছে বলে যাঁরা অপবাদ দেয়, সেই অপবাদ প্রদানকারীদের মত এখন কেউ যদি বিশ্বাস করে যে শিয়া মুসলমানদের আলাদা কুর'আন আছে, তাহলে সে মহান আল্লাহ পাকের চ্যালেঞ্জকে অবজ্ঞা করল আর সেই আয়াতে অবিশ্বাস করল। এটা এক প্রকার প্রচ্ছন্ন কুফরী করার মত বিষয়।
কারন মহান আল্লাহ পাক যেহেতু চ্যালেঞ্জ করেছেন যে এই মহাপবিত্র গ্রন্থকে তিনি অবিকৃতভাবে রক্ষা করবেন, সেহেতু শিয়া কিংবা সুন্নিরা কেন, তাদের বাপ দাদারাও মিলে এই গ্রন্থের একটা শব্দও বাড়াতে কিংবা কমাতে পারবেনা।
মনে হচ্ছে পবিত্র কুর'আনের উপর এসব অপবাদ দানকারীদের কোন ঈমানই নেই, তাই এমন অসম্ভব ও কুফরী কথা বলছে।
আর শিয়া ও সুন্নি উভয় মাযহাবেই কিছু কিছু জাল হাদীসে পবিত্র কুর'আন বিকৃত হবার কথা এসেছে।
খোদ সুন্নি মাযহাবের সিহাহ সিত্তাহতেও কিছু কিছু হাদীসে হযরত উমার, হযরত আইশা প্রভৃতি ব্যক্তির বরাত দিয়ে হাদীস এসেছে যে পবিত্র কুর'আন নাকি বিকৃত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
এখন এসব জাল হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে আমরা কি বলব যে সুন্নি মুসলমান ভাইরা পবিত্র কুর'আনের বিকৃতিতে বিশ্বাস করে? না, আমরা তা বলব না, কারন আমরা জানি সুন্নি মাযহাবের আক্বীদাতে তা নেই।
সেরকম শিয়া মাযহাবের কিছু কিছু গ্রন্থের কোন কোন হাদীসে কোন বিষয় আসলেই বলা যাবেনা যে তা শিয়া আক্বীদা। কারন শিয়া ও সুন্নি, উভয় মাযহাবের সমস্ত হাদীস গ্রন্থেই সহীহ হাদীসের পাশাপাশি অনেক জাল হাদীসও এসেছে।
শিয়া মাযহাবের সকল মুহাদ্দিস ও রিজালীগণ বলেছেন যে পবিত্র কুর'আন বিকৃত হওয়া সংক্রান্ত শিয়া ও সুন্নি, উভয় মাযহাবের হাদীস গ্রন্থের সেসব সকল হাদীসই জাল। আজ পর্যন্ত কোন শিয়া মুসলমান এই আক্বীদা পোষণ করেননাই যে পবিত্র কুর'আন বিকৃত হয়েছে।
কিন্তু সুন্নি মুসলমান ভাইরা বিশ্বাস করেন যে পবিত্র কুর'আনের পাশাপাশি সিহাহ সিত্তাহর ছয়টি সুন্নি হাদীস গ্রন্থ পুরোপুরিই নির্ভুল ও নির্ভেজাল। তাই এসব হাদীস গ্রন্থের যেকোন একটি হাদীসকেই রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করে তাতে উল্লেখিত বিষয়কে সুন্নি মাযহাবের আক্বীদা বলা যাবে। সেক্ষেত্রে খোদ সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থেই যেহেতু পবিত্র কুর'আনের বিকৃতির পক্ষে হাদীস এসেছে, তাই এটাকে সুন্নি মাযহাবের আক্বীদা বলে দাবী করাটা যৌক্তিক। এমনকি সুন্নি মাযহাবের কোন কোন ফেরকা এটা বিশ্বাসও করে যে পবিত্র কুর'আন নাকি বিকৃত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
কিন্তু তারপরও আমরা এই অভিযোগ করিনা যে সুন্নি মুসলমান ভাইরা পবিত্র কুর'আনের বিকৃতিতে বিশ্বাস করে। তবে সুন্নি মুসলমানদের উচিত সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থগুলোকে সম্পূর্ণ নির্ভুল বলে বিশ্বাস করার অবস্থান থেকে সরে আসা, নাহলে তাঁদের মধ্যে পবিত্র কুর'আনের বিকৃতিতে বিশ্বাসকারীর সংখ্যা দিন দিন আরও বাড়বে যেহেতু খোদ সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থগুলোতেই পবিত্র কুর'আন বিকৃতির ব্যাপারে জাল হাদীস এসেছে!
পবিত্র কুর'আনের বিকৃতি প্রসঙ্গ:
আর এটা একেবারেই মিথ্যা অভিযোগ যে শিয়ারা অন্য কুরআনে বিশ্বাস করে!! "কুরআন পরিবর্তন হয়েছে" এমন কোন আক্বীদা শিয়া মুসলমানদের নাই!! যদি শিয়া মুসলমানদের অন্য কুরআন থাকে তাহলে সেই কুরআন কোথায় আছে? কেউ কি সেটা দেখেছে, নাকি খালি সৌদী ওয়াহাবীদের মুখে শুনেই বিশ্বাস করে আসছে?!
যেসব সুন্নি ভাইরা যাঁরা ইসলামী ইরানে বসবাস করেন, তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখা উচিত যে উনারা তন্নতন্ন করে খুঁজেও ইসলামী ইরানের কোন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও কোন আলাদা 'শিয়া কুরআন' খুঁজে পান কিনা! আর এই অপবাদ দানকারীরাও বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে খুঁজে একটি আলাদা 'শিয়া কুরআন' বের করে আমাদের দেখাক!
মহান আল্লাহ পাক তাঁর পবিত্র গ্রন্থ আল কুর'আনুল হাকীমে উল্লেখ করেছেন যে তিনি এই গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তিনি নিজেই এই গ্রন্থকে হিফাযত করবেন।
এখন শিয়াদের অন্য কুর'আন আছে বলে যাঁরা অপবাদ দেয়, সেই অপবাদ প্রদানকারীদের মত এখন কেউ যদি বিশ্বাস করে যে শিয়া মুসলমানদের আলাদা কুর'আন আছে, তাহলে সে মহান আল্লাহ পাকের চ্যালেঞ্জকে অবজ্ঞা করল আর সেই আয়াতে অবিশ্বাস করল। এটা এক প্রকার প্রচ্ছন্ন কুফরী করার মত বিষয়।
কারন মহান আল্লাহ পাক যেহেতু চ্যালেঞ্জ করেছেন যে এই মহাপবিত্র গ্রন্থকে তিনি অবিকৃতভাবে রক্ষা করবেন, সেহেতু শিয়া কিংবা সুন্নিরা কেন, তাদের বাপ দাদারাও মিলে এই গ্রন্থের একটা শব্দও বাড়াতে কিংবা কমাতে পারবেনা।
মনে হচ্ছে পবিত্র কুর'আনের উপর এসব অপবাদ দানকারীদের কোন ঈমানই নেই, তাই এমন অসম্ভব ও কুফরী কথা বলছে।
আর শিয়া ও সুন্নি উভয় মাযহাবেই কিছু কিছু জাল হাদীসে পবিত্র কুর'আন বিকৃত হবার কথা এসেছে।
খোদ সুন্নি মাযহাবের সিহাহ সিত্তাহতেও কিছু কিছু হাদীসে হযরত উমার, হযরত আইশা প্রভৃতি ব্যক্তির বরাত দিয়ে হাদীস এসেছে যে পবিত্র কুর'আন নাকি বিকৃত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
এখন এসব জাল হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে আমরা কি বলব যে সুন্নি মুসলমান ভাইরা পবিত্র কুর'আনের বিকৃতিতে বিশ্বাস করে? না, আমরা তা বলব না, কারন আমরা জানি সুন্নি মাযহাবের আক্বীদাতে তা নেই।
সেরকম শিয়া মাযহাবের কিছু কিছু গ্রন্থের কোন কোন হাদীসে কোন বিষয় আসলেই বলা যাবেনা যে তা শিয়া আক্বীদা। কারন শিয়া ও সুন্নি, উভয় মাযহাবের সমস্ত হাদীস গ্রন্থেই সহীহ হাদীসের পাশাপাশি অনেক জাল হাদীসও এসেছে।
শিয়া মাযহাবের সকল মুহাদ্দিস ও রিজালীগণ বলেছেন যে পবিত্র কুর'আন বিকৃত হওয়া সংক্রান্ত শিয়া ও সুন্নি, উভয় মাযহাবের হাদীস গ্রন্থের সেসব সকল হাদীসই জাল। আজ পর্যন্ত কোন শিয়া মুসলমান এই আক্বীদা পোষণ করেননাই যে পবিত্র কুর'আন বিকৃত হয়েছে।
কিন্তু সুন্নি মুসলমান ভাইরা বিশ্বাস করেন যে পবিত্র কুর'আনের পাশাপাশি সিহাহ সিত্তাহর ছয়টি সুন্নি হাদীস গ্রন্থ পুরোপুরিই নির্ভুল ও নির্ভেজাল। তাই এসব হাদীস গ্রন্থের যেকোন একটি হাদীসকেই রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করে তাতে উল্লেখিত বিষয়কে সুন্নি মাযহাবের আক্বীদা বলা যাবে। সেক্ষেত্রে খোদ সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থেই যেহেতু পবিত্র কুর'আনের বিকৃতির পক্ষে হাদীস এসেছে, তাই এটাকে সুন্নি মাযহাবের আক্বীদা বলে দাবী করাটা যৌক্তিক। এমনকি সুন্নি মাযহাবের কোন কোন ফেরকা এটা বিশ্বাসও করে যে পবিত্র কুর'আন নাকি বিকৃত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
কিন্তু তারপরও আমরা এই অভিযোগ করিনা যে সুন্নি মুসলমান ভাইরা পবিত্র কুর'আনের বিকৃতিতে বিশ্বাস করে। তবে সুন্নি মুসলমানদের উচিত সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থগুলোকে সম্পূর্ণ নির্ভুল বলে বিশ্বাস করার অবস্থান থেকে সরে আসা, নাহলে তাঁদের মধ্যে পবিত্র কুর'আনের বিকৃতিতে বিশ্বাসকারীর সংখ্যা দিন দিন আরও বাড়বে যেহেতু খোদ সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থগুলোতেই পবিত্র কুর'আন বিকৃতির ব্যাপারে জাল হাদীস এসেছে!
সাহাবীগণের প্রসঙ্গ:
আর শিয়া মুসলমানরা কাউকে কাউকে উপযুক্ত দলীল, প্রমান, সাক্ষ্য, যুক্তি ও বিশ্লেষণ সহকারে সমালোচনা করে, কিন্তু গালি দেয়না। গালি দেয়া ইসলামে হারাম ঘোষনা করা হয়েছে!
যদি কোন শিয়া কোন খলিফাকে অথবা কোন নবীপত্নীকে 'গালিগালাজ' করে, তবে সে শিয়া মাযহাবের ফিকাহ অনুযায়ীই অত্যন্ত জঘন্য হারাম কাজ করল!
ইরানের রাহবার রাহবার হযরত আয়াতুল্লাহ ইমাম সাইয়্যেদ আলী হুসাইনী খামেনায়ী (হাফি.)-ও এটাকে হারাম ফতোয়া দিয়েছেন!
আর কোন ব্যাক্তি শিয়ার ব্যাক্তিগত আচরন গোটা শিয়া মাযহাবের প্রতিনিধিত্ব করেনা। ঠিক যেমন কোন সাধারন সুন্নি ভাইয়ের ব্যক্তিগত আচার আচরন, কথাবার্তা সুন্নি মাযহাবের প্রতিনিধিত্ব করেনা।
অশ্লীল গালি দেয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম, এমনকি যদি তা খোদ ইবলিস শয়তানকেও দেয়া হয়! সাধারন কোন ব্যাক্তি শিয়ার ব্যক্তিগত কোন মত, কথা বা আচরন দেখে শিয়া মাযহাব সম্পর্কে জানা যাবেনা। যেমনটা সাধারন সুন্নি ভাইদের আচার ব্যবহার, কথা বার্তা দেখেও সুন্নি মাযহাব সম্পর্কে জানা যাবেনা।
গালাগালি করা ইসলাম এবং ইসলামের সকল মাযহাব অনুযায়ী সম্পূর্ণরূপে হারাম। দুঃখজনকভাবে শিয়া ও সুন্নি উভয় মাযহাবেই কিছু উগ্র ও বিচ্যুত লোক একে অপরকে, কিংবা একে অপরের নেতৃবৃন্দকে গালাগালি করে থাকে যেটার সাথে না শিয়া মাযহাবের সম্পর্ক রয়েছে আর না সুন্নি মাযহাবের সম্পর্ক রয়েছে।
সুতরাং তথাকথিত নামধারী এসব 'শিয়া' লোকদেরকে দেখে সুন্নি ভাইরা শিয়া মাযহাবকে বিচার করতে গেলে, তাখন সুন্নি মাযহাবের ঐসব উগ্র লোকদেরকে দেখেও শিয়ারা সুন্নি মাযহাবকে বিচার করতে শিখবে।
প্রাচীন কাল থেকেই বড় বড় শিয়া মনীষীগণ এই কথা বলেছেন এবং এটাই আহলে বাইতের এই মাযহাবের আক্বীদা ও শিক্ষা।
কিন্তু সকল মাযহাবেই যেমন উগ্র ও বিচ্যুত ধারা রয়েছে, শিয়া মাযহাবেও তেমন অল্প কিছু ব্যাক্তি রয়েছেন, যাঁরা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেন এবং তাঁরা শিয়া মাযহাবের শিক্ষা নিজেরাই মেনে চলেন না। সুন্নি মাযহাবেও এমন কিছু ব্যাক্তি রয়েছেন যাঁরা মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাঃ {তাঁর জন্য আমার পিতা মাতা কুরবান হোক} এর আহলে বাইতকে গালিগালাজ করে থাকেন, যা আসলে সুন্নি মাযহাবের শিক্ষা নয়।
আই এস, সৌদীপন্থী, স্যেকুলার এরদোয়ানপন্থী, ওয়াহাবী, তালেবান, ফকির বাউলপন্থী, ভন্ড পীরপন্থী, রাজাকার, জোকার ওয়াজী, সমকামে লিপ্ত কিছু কওমী আলেম শ্রেণী, সরকারী দরবারী আলেম শ্রেণী, ইত্যাদি গ্রুপগুলোর সাথে যেমন সুন্নি মাযহাবের কোন সম্পর্ক নেই তেমনি কেউ যদি কাউকে গালি দেয়, তাহলে তাঁর সাথেও শিয়া মাযহাবের কোনই সম্পর্ক নেই।
কয়েক বছর হল নতুন নতুন কিছু উগ্র তথাকথিত শিয়া দেখছি অনলাইনে যাঁদের বেশিরভাগকেই সরাসরি চিনি না এবং তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়েও তাঁদের অস্তিত্ব বের করতে পারিনি। কিছু ইসরাইলী এবং সৌদী এজেন্ট ইরান এবং শিয়া মাযহাবকে বদনাম করার জন্য এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সুন্নি ভাইদেরকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য শিয়া আইডি খুলে এ ধরনের গালাগালি করছে যাতে মানুষ মনে করে যে শিয়া মাযহাবটাই বুঝি এমন। তবে হ্যাঁ, দুই একজন উগ্র শিয়াও যে নেই তা বলছি না। সব ধর্মে, সব মাযহাবেই এমন কিছু উগ্র লোক থাকে।
মুসলমানদের মধ্যে গালাগালি করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি রয়েছে সৌদীপন্থী ওয়াহাবীদের মধ্যে। এদের চিন্তা চেতনা যেমন উগ্র, এদের আচার আচরনও তেমনি হিংস্র। আর গালাগালি এদের মুখে প্রতিনিয়ত এবং অনবরত আসতেই থাকে। এরা অন্য মাযহাবের সবাইকে কাফির, মুরতাদ, মুশরিক, ইত্যাদি বলতেও পিছপা হয়না।
তবে একটি বিষয় পরিস্কার করা দরকার যে 'গালিগালাজ' আর 'সমালোচনা' এক বিষয় নয়!
উপযুক্ত ঐতিহাসিক দলীল, প্রমান, সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সত্য উদঘাটনের জন্য কাউকে সমালোচনা করা মানেই তাকে গালি দেয়া না।
কোন সাহাবা কিংবা নবীপত্নিগণকে গালি দেয়াটা শিয়া কিংবা সুন্নি উভয় মাযহাব অনুসারেই সম্পূর্ণরূপে হারাম।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বিরুদ্ধাচারন করার জন্য বিধি সম্মত উপায়ে দলীল, প্রমান, সাক্ষ্য, যুক্তি ও বিশ্লেষণের আলোকে কাউকে সমালোচনা করা আর গালি দেয়ার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ আছে।
আর রাসূলুল্লাহ সাঃ {তাঁর জন্য আমি কুরবান হই} এর হুকুম ও আদর্শের বিরোধীতা কেউ করলে তাকে সমালোচনা করা নিঃসন্দেহে ঈমান এর পরিচয় বহন করে; আর অপর পক্ষে তাদের সমালোচনা না করা বা তাদেরকে ভালবাসাটা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাঃ {তাঁর জন্য আমার পিতা মাতা কুরবান হোক} এর বিরুদ্ধেই যায়!
আশুরায় রক্তপাত প্রসঙ্গ:
ইসলামী ইরানের রাহবার সহ ইরান, ইরাক, লেবানন, বাহরাইন, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, আযারবাইযান, কুয়েত, কাতার প্রভৃতি দেশের অসংখ্য শিয়া আলেম ও মুস্তাহিদ ফকীহগন ফতোয়া দিয়েছেন যে শোক পালন করার নামে এ ধরনের ছুরি দিয়ে রক্তপাত করা সম্পূর্ণ হারাম ও বিদআত!
তবুও কিছু অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অন্ধ শিয়া লোকেরা এই কাজটি করে যাচ্ছে যার সাথে শিয়া মাজহাবের কোন সম্পর্ক নেই।
অধিকাংশ শিয়ারাই এই ধরনের রক্তপাতের বিরোধী ... বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সহ যে সব দেশে এ রকম রক্তপাত হয়, সে সব দেশের আশুরার শোক মিছিলে অংশগ্রহন করা হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ শিয়া মুসলমানদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা ত্রিশ চল্লিশজন ব্যাক্তি এই কাজ করে, অন্যরা এটা করেননা ও সমর্থনও করেননা!
আর যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে অধিকাংশ শিয়ারা এটা করে, তাহলেও কি এর জন্য শিয়া মাযহাবকে দোষ দেয়া যাবে, যখন শিয়া মাযহাবের শরিয়তের ফিকাহতে এটা হারাম ও বিদ'আত ঘোষনা করা আছে?!
যদি অধিকাংশ অনুসারীর কর্মকান্ডের দোষ মাযহাবের গায়ে আসে, তাহলে তো বলতে হয় যে, যেহেতু বাংলাদেশে অধিকাংশ সুন্নি নারীরা হিজাব পড়েনা এবং উগ্র ও অশ্লীলভাবে চলাফেরা করে, সুতরাং এর জন্য সুন্নি মাযহাব দায়ী! বলতে হবে যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ সুন্নি জনগোষ্ঠী পবিত্র কুরবানীর ঈদে গরু জবাই দেয় মাংস খাওয়ার লোভে, সুতরাং এর জন্যে সুন্নি মাযহাবই দায়ী; আরও বলা যাবে, যেহেতু বাংলাদেশের অনেক সুন্নি ব্যাক্তিরা মাজারে গিয়ে গলায় জরীর মালা লাগিয়ে গাঁজা সেবন করে, সুতরাং এর দায় দায়িত্বও সুন্নি মাযহাবের উপর বর্তাবে!
যাই হোক, সব মাযহাবেই কিছু বিদ'আতপন্থীরা রয়েছে, সুন্নি মাযহাবেও বিদ'আতপন্থীরা রয়েছে। এখন সুন্নি বিদ'আতপন্থীদের অনৈসলামিক কর্মকান্ডের দায় দ্বায়িত্ব কি সুন্নি মাযহাব নেবে? নেবেনা। তেমনি শিয়াদের মধ্যে অল্প কিছু বিদ'আতপন্থীদের হারাম কর্মকাণ্ডের দায় দায়িত্বও পবিত্র শিয়া মাযহাব নেবে না।
পবিত্র কুর'আনের বিকৃতি প্রসঙ্গে:
আর এটা একেবারেই মিথ্যা অভিযোগ যে শিয়ারা অন্য কুরআনে বিশ্বাস করে!! "কুরআন পরিবর্তন হয়েছে" এমন কোন আক্বীদা শিয়া মুসলমানদের নাই!! যদি শিয়া মুসলমানদের অন্য কুরআন থাকে তাহলে সেই কুরআন কোথায় আছে? কেউ কি সেটা দেখেছে, নাকি খালি সৌদী ওয়াহাবীদের মুখে শুনেই বিশ্বাস করে আসছে?!
যেসব সুন্নি ভাইরা যাঁরা ইসলামী ইরানে বসবাস করেন, তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখা উচিত যে উনারা তন্নতন্ন করে খুঁজেও ইসলামী ইরানের কোন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও কোন আলাদা 'শিয়া কুরআন' খুঁজে পান কিনা! আর এই অপবাদ দানকারীরাও বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে খুঁজে একটি আলাদা 'শিয়া কুরআন' বের করে আমাদের দেখাক!
মহান আল্লাহ পাক তাঁর পবিত্র গ্রন্থ আল কুর'আনুল হাকীমে উল্লেখ করেছেন যে তিনি এই গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তিনি নিজেই এই গ্রন্থকে হিফাযত করবেন।
এখন শিয়াদের অন্য কুর'আন আছে বলে যাঁরা অপবাদ দেয়, সেই অপবাদ প্রদানকারীদের মত এখন কেউ যদি বিশ্বাস করে যে শিয়া মুসলমানদের আলাদা কুর'আন আছে, তাহলে সে মহান আল্লাহ পাকের চ্যালেঞ্জকে অবজ্ঞা করল আর সেই আয়াতে অবিশ্বাস করল। এটা এক প্রকার প্রচ্ছন্ন কুফরী করার মত বিষয়।
কারন মহান আল্লাহ পাক যেহেতু চ্যালেঞ্জ করেছেন যে এই মহাপবিত্র গ্রন্থকে তিনি অবিকৃতভাবে রক্ষা করবেন, সেহেতু শিয়া কিংবা সুন্নিরা কেন, তাদের বাপ দাদারাও মিলে এই গ্রন্থের একটা শব্দও বাড়াতে কিংবা কমাতে পারবেনা।
মনে হচ্ছে পবিত্র কুর'আনের উপর এসব অপবাদ দানকারীদের কোন ঈমানই নেই, তাই এমন অসম্ভব ও কুফরী কথা বলছে।
আর শিয়া ও সুন্নি উভয় মাযহাবেই কিছু কিছু জাল হাদীসে পবিত্র কুর'আন বিকৃত হবার কথা এসেছে।
খোদ সুন্নি মাযহাবের সিহাহ সিত্তাহতেও কিছু কিছু হাদীসে হযরত উমার, হযরত আইশা প্রভৃতি ব্যক্তির বরাত দিয়ে হাদীস এসেছে যে পবিত্র কুর'আন নাকি বিকৃত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
এখন এসব জাল হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে আমরা কি বলব যে সুন্নি মুসলমান ভাইরা পবিত্র কুর'আনের বিকৃতিতে বিশ্বাস করে? না, আমরা তা বলব না, কারন আমরা জানি সুন্নি মাযহাবের আক্বীদাতে তা নেই।
সেরকম শিয়া মাযহাবের কিছু কিছু গ্রন্থের কোন কোন হাদীসে কোন বিষয় আসলেই বলা যাবেনা যে তা শিয়া আক্বীদা। কারন শিয়া ও সুন্নি, উভয় মাযহাবের সমস্ত হাদীস গ্রন্থেই সহীহ হাদীসের পাশাপাশি অনেক জাল হাদীসও এসেছে।
শিয়া মাযহাবের সকল মুহাদ্দিস ও রিজালীগণ বলেছেন যে পবিত্র কুর'আন বিকৃত হওয়া সংক্রান্ত শিয়া ও সুন্নি, উভয় মাযহাবের হাদীস গ্রন্থের সেসব সকল হাদীসই জাল। আজ পর্যন্ত কোন শিয়া মুসলমান এই আক্বীদা পোষণ করেননাই যে পবিত্র কুর'আন বিকৃত হয়েছে।
কিন্তু সুন্নি মুসলমান ভাইরা বিশ্বাস করেন যে পবিত্র কুর'আনের পাশাপাশি সিহাহ সিত্তাহর ছয়টি সুন্নি হাদীস গ্রন্থ পুরোপুরিই নির্ভুল ও নির্ভেজাল। তাই এসব হাদীস গ্রন্থের যেকোন একটি হাদীসকেই রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করে তাতে উল্লেখিত বিষয়কে সুন্নি মাযহাবের আক্বীদা বলা যাবে। সেক্ষেত্রে খোদ সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থেই যেহেতু পবিত্র কুর'আনের বিকৃতির পক্ষে হাদীস এসেছে, তাই এটাকে সুন্নি মাযহাবের আক্বীদা বলে দাবী করাটা যৌক্তিক। এমনকি সুন্নি মাযহাবের কোন কোন ফেরকা এটা বিশ্বাসও করে যে পবিত্র কুর'আন নাকি বিকৃত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
কিন্তু তারপরও আমরা এই অভিযোগ করিনা যে সুন্নি মুসলমান ভাইরা পবিত্র কুর'আনের বিকৃতিতে বিশ্বাস করে। তবে সুন্নি মুসলমানদের উচিত সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থগুলোকে সম্পূর্ণ নির্ভুল বলে বিশ্বাস করার অবস্থান থেকে সরে আসা, নাহলে তাঁদের মধ্যে পবিত্র কুর'আনের বিকৃতিতে বিশ্বাসকারীর সংখ্যা দিন দিন আরও বাড়বে যেহেতু খোদ সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থগুলোতেই পবিত্র কুর'আন বিকৃতির ব্যাপারে জাল হাদীস এসেছে!
শিয়া মুসলমানগণের কালেমা প্রসঙ্গে:
শিয়া এবং সুন্নি, উভয় মাযহাবের কালেমা একই। কোন পার্থক্য নেই। শিয়াদের আক্বীদার কোন গ্রন্থে "লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" ব্যাতীত অন্য কোন কালেমাই খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তবে কেউ কেউ, কোন কোন সময়ে শ্লোগান হিসেবে 'আলিয়্যুন ওয়ালিউল্লাহ' কথাটি কালেমার পর বলে থাকেন। কিন্তু এটা কেবল মাত্র একটি শ্লোগান কিংবা ঘোষণা, এটা কালেমার অংশ নয়।
আর তাছাড়া 'আলিয়্যুন ওয়ালিউল্লাহ' কথাটির অর্থ হচ্ছে আলী হচ্ছেন আল্লাহর ওলী, এখানে কেবল মাত্র হযরত আলী (কাঃ) কে মহান আল্লাহ পাকের একজন ওলী হিসেবে পরিচিত করানো হচ্ছে যা বাস্তবেও একটি সত্য কথা। শিয়া, সুন্নি সহ কোন মুসলমানই এটা অস্বীকার করবেন না যে হযরত আমিরুল মু'মিনিন আলী (কাঃ) মহান আল্লাহ পাকের ওলী ছিলেন না। তাহলে কালেমার অংশ মনে না করে কালেমার পর এর সাথে ছন্দ মিলিয়ে সত্য একটি কথাকে যদি কেউ শ্লোগান হিসেবে বলে থাকেন, তাহলে সমস্যা কোথায়?
কেন তাহলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে শিয়াদের কালেমা সুন্নিদের থেকে ভিন্ন?!
শিয়ারা যদি কাফের হয় তাহলে আমেরিকা কেনো ইরান কে ভয় পায়?
Ответитьsorry sir , shia der abba hocche banu ummaiya , abdullah ibn sabah ashce hazrat ali (r.a) shomoy...emon ki hazrat usman (r.a.) shahadat er jonneo banu ummaiya dai... ,,, sir amader main hadith er kitab gulo tei shob daoa ache ... tao apnara ummaiya der bachanor mittha cheshta kno koren ?
Ответитьআমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥....///
Ответитьএই হুজুর টা হারাম খেয়েছে। এজিদি আলেম। এজিদের দরবারে এরকম হাজার হাজার আলেম ছিল। তারি ট্র্যাডিশন দেখছি আমরা। এজিডি আলেমের ফাঁদে কেউ পড়বেন না
Ответитьরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম শুনার পর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। না বলবে সে দুনিয়াতে সবচাইতে বড় কুপন হবে বলে বলেছেন।
Ответитьশিয়ারা কট্টরপন্থী কাফের,,,,,।
Ответитьশিয়ারা কুরআনের বিকৃতি করেছে সেটার প্রমাণ না দিয়ে কথা বললে সে মিথ্যাচার হবে বলেই মনে করি। ইনাদের মত অনে আলেম ওলামাদের বলতে শুনেছি শিয়াদের কুরআন নাকি ৯০ পারা। আমি খুঁজে পাইনি এমন কোনো তথ্য। যদি কেউ বিশ্বাস করে যে কুরআন বিকৃতি করেছে বা করা সম্ভব হয়েছে তবে তারাই কুরআনের আয়াত অস্বীকারকারী। আল্লাহ নিজে কুরআনের রক্ষক এই কথাটি বিশ্বাস করেনা।
ОтветитьTahola shiara kafar
Ответитьশিয়া কাদিয়ানী কাফের কোন সন্দেহ নাই
Ответитьশিয়া অধ্যুষিত ইরান ইসলামের প্রধান শত্রু
Ответить🌹لا اله الا الله محمد رسول الله🌹
🌹صلى الله على النبي الكريم🌹
১০০% ওরা প্রথ বসট।
Ответитьমিথ্যা বানোয়াট
ОтветитьWhabira bhondo
Ответитьমনে হয় আপনিই ইসলাম 😂😂😂😂😂😂😂😂😂
ОтветитьKauke montobbo korar age nijer kotha bhabun
Ответить